বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিটস্টোকের ঘরোয়া চিকিৎসা

ক্রাইম রিপোর্ট ডেস্ক [] তীব্র ঘরম পড়লে শুধু অস্বস্তি ও শরীরে ঘামই হয় না, হিট স্ট্রোকেরও ঝুঁকি থাকে। তীব্র তাপদাহের কারণে শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল লাগে। সূর্যের নীচে একটানা দীর্ঘসময় থাকলে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ে। এতে শরীরে অতিরিক্ত পানিশুন্যতা তৈরি হয়। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত  হলে ঘরোয়া কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যেমন –

১. গরমে শরীর সুস্থ রাখতে বাটারমিল্কের জুড়ি নেই। এতে থাকা প্রবায়োটিক, প্রোটিণ এবং ভিটামিন শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

বাটারমিল্ক তৈরি করতে এক গ্লাস পানিতে দুই চাচম দই দিন। এবার এতে সামান্য লবণ ও জিরার গুড়া মেশান। প্রতিদিন দিনে অন্তত এক থেকে দুইবার এটি পান করুন।

২. পেঁয়াজের রসও হিট স্ট্রোকের জন্য দারুণ উপকারী। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী, হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা গেলে প্রথমেই পেঁয়াজের ব্যবহার করা উচিত।

হিট স্ট্রোকের উপসর্গ দেখা দিলে কানের পেছনে, পায়ের পাতায় এবং বুকে পেঁয়াজ বাটা লাগায়ে কিছুক্ষন রেখে দিন। এছাড়া এক চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।

৩. তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং ইলেক্ট্রোলাইট আছে। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় । এটি পানিশূন্যতা পূরণে ভূমিকা রাখে।

হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে তেঁতুলের শরবত খেতে পারেন। এজন্য প্রথমে কয়েকটি তেঁতুল পানিতে সেদ্ধ করুন। এবার এটা ছেঁকে নিন। তেঁতুলের পানীয়তে মধু এবং সামান্য লবণ যোগ করুন। এই পানীয়টি দিনে দুইবার পান করলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে।

৪. হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে কাঁচা আম খুবই কার্যকরী। এটা দিয়ে জুস তৈরি করলে তা একই সঙ্গে শরীর সজীব করে এবং সুস্থ রাখে।

হিট স্ট্রোক হলে কাঁচা আমের জুসও পান করতে পারেন। এজন্য প্রথমে পানিতে আম সিদ্ধ করুন। এবার সিদ্ধ আমগুলিতে পানি দিয়ে ভালভাবে ব্লেণ্ড করুন। এবার এতে সামান্য লবণ, জিরা এবং চিনি যোগ করে পান করুন।

সূত্র : টাইমস অব ইণ্ডিয়া

Comments are closed.

More News Of This Category